১. জামদানী শাড়ি কখনোই ১ ভাবে ভাজ করে রাখবেন না। প্রতি মাসে ভাজ পালটে রেখে দিন।
২. প্রতি মাসে ১ বার করে হলেও বাতাসে মেলে দিন। এরপর ভাজ পালটে রেখে দিন।
৩. জামদানী রোলারে রাখলে বেটার। না হলে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।
৪. স্টিলের আলমারি তে শাড়ি বেশি ভালো থাকে। কাঠের আলমারিতে রাখলে কাগজে মুড়ে রাখতে পারেন।
৫. প্লাস্টিকের রোলার পাওয়া যায়। সেই রোলারে জামদানী শাড়ি প্যাচায় রাখতেও পারেন।
৬. কখনোই জামদানী কে বাসায় পানিতে ধুবেন না। জামদানী তে পানি লাগানো যাবে না।
৭. শাড়ি ১/২ বার পড়ার পর মাড় কমে গেলে কাটা পলিশ করে নিবেন। ব্যান্ড বক্স এর মত বড় ড্রাই ক্লিনার্স দের দিতে পারেন। সব চেয়ে বেটার হয়, জামদানী তাতীদের কাছে দেয়া৷ সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ পসিবল না, তাই আমাদের কে দিলে আমরা করে দিতে পারবো।
৭. আয়রন করতে চাইলে মিডিয়াম হীটে দিয়ে সাবধানে করবেন।
৮. শাড়ি পড়ার পর অবশ্যই বাতাসে শাড়ি টা মেলে দিবেন। ঘাম শুকালে তারপর শাড়ি ভাজ করে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখবেন।
৯. অবশ্যই শাড়ি পড়ার আগে শাড়ির পাড়ে ফলস লাগিয়ে নিবেন। ইন্ডিয়ান সিল্কের চওড়া ফলস গুলো লাগাবেন।
১০. শাড়ির আচল আর ভেতরের দিকের অংশে পিকু বা সেলাই করে নিবেন। দামী শাড়ির আচলে অনেকেই ফলস বা ইনার লাগিয়ে থাকেন।
১১. শাড়িতে রঙ বা দাগ লাগলে উঠানো সম্ভব হয় না। কারন এর সুতা গুলো অত্যন্ত সুক্ষ আর ডেলিকেট। এগুলার বুনন কৌশল অনেক জটিল আর সুক্ষ বলেই জামদানীর এত দাম। শাড়িতে দাগ লাগা মানে প্রতিটা সুতাকে আলাদা আলাদা করে ক্লীন করা পরে সম্ভব হয় না। সো দাগ লাগলে কেউ হেল্প করতে পারবে না!
সর্বোপরি জামদানী শাড়ি কখনো ফেলে রাখবেন না। নিয়মিত পড়বেন। বাসায় ১ ঘন্টার জন্যে হলেও পড়বেন। শাড়ি পড়লেই শাড়ি ভালো থাকবে।